ব্রেকিং নিউজ ::
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বিশ্বস্ত গণমাধ্যম মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রথম জাতীয় দৈনিক আমাদের’৭১ পত্রিকার প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণে আপনাকে স্বাগতম। নতুন আঙ্গিকে প্রকাশিত প্রিন্ট কপির জন্য আজই হকারকে বলে রাখুন।।
সংবাদ শিরোনাম ::
এএসপি পলাশ সাহার চেয়েও জটিল অবস্থায় ময়মনসিংহের তথ্য ক্যাডার : খোলা চিঠি পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন পিআইবিতে সাংবাদিকতায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও নবীনবরণ পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির কমিটি বাতিল চেয়ে তারেক রহমান বরাবর আবেদন নড়াইলে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ে পুনর্মিলনী উদযাপন প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ঢ কবি মোসলেম উদ্দিন ও বিজয় সরকারের বিদ্যাপীঠে পুনর্মিলনী আগামী ৩ এপ্রিল এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব নড়াইলের কালীপ্রসন্ন(কেপি) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী ৩ এপ্রিল

এএসপি পলাশ সাহার চেয়েও জটিল অবস্থায় ময়মনসিংহের তথ্য ক্যাডার : খোলা চিঠি

  • আপডেট টাইম : Thursday, May 8, 2025
  • 27 Time View

এএসপি পলাশ সাহার চেয়ে বেশি জটিল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমি। পিতৃহারা আমি আমার বিধবা মায়ের সাথে একই বাসায় আছি; বউয়ের প্ররোচনার কাছে হার মানিনি, মাকে পর করে দেইনি, আলহামদুলিল্লাহ। আট মাস ধরে সে বাচ্চাদের নিয়ে আমার অনুমতি ছাড়া বাবার বাড়ি চলে গেছে। তখন আমি অফিসে ছিলাম, বাচ্চাদের শেষ বিদায় দেওয়ার জন্য আমার একবার দেখা দরকার এটুকু প্রয়োজনও মনে করেনি। এর আগেও একাধিকবার তিন মাসের বেশি সময় ধরে বাবার বাড়ি ছিলো সামান্য ঝগড়াকে ইস্যু করে। সে আমাকে ইসলাম শিখায়, “স্ত্রী চাইলে স্বামী বউকে আলাদা ঘর দিতে বাধ্য”। রাষ্ট্রীয় আইন শেখায়, “স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া জোর করলে সেটা ম্যারিটাল রেইপ” (৫ বছর ধরে শুনছি এটা)। ম্যারিটাল রেইপ উচ্চারণ করার সময় ইসলাম গায়েব হয়ে যায়? “ইসলাম অনুযায়ী শাশুড়ির সেবা করা পুত্রবধুর ফরজ দায়িত্ব নয়, এটা পুত্রের দায়িত্ব” এই হাদিস তিনি জানেন, কিন্তু “স্বামীকে বঞ্চিত করে কোন নারী রাত্রিযাপন করলে সারারাত ফেরেশতাগণ অভিশাপ দিতে থাকে”, এই হাদীস তিনি জানেন না, তিনি জানেন ম্যারিটাল রেইপ রাষ্ট্রীয় আইনে অপরাধ!

এসব ব্যক্তিগত বিষয় আমার মত লোকের ফেসবুকে দেওয়ার কথা না। কিন্তু গোপন করে লাভ কী, সে ০৮ মাস ধরে ফেসবুকে আমার এবং আমার মায়ের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিন্দনীয় কিছু মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে, তার সাথে আমার এলাকাবাসী, অফিস কলীগ, আত্মীয়-স্বজন অনেকেই এড। গ্রামের বাড়ির অধিকাংশই জানে আমার ছাড়াছাড়ি, অনেকেই বিয়ে করার পরামর্শ দেয়। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমার জানানো উচিৎ, সে ফেসবুকে যা লিখছে তার ৯৫% মিথ্যা, আমার নীরবতা মানেই আমি তার মিথ্যাচারকে এপ্রুভ করছি না, কাদা ছুড়াছুঁড়ি করতে চাইনি বলেই এতদিন চুপ ছিলাম।

সে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে সংসারে ফিরে আসবে না। তাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে শ্বশুরের শরণাপন্ন হয়েছি, তিনিও একই জবাব দিয়েছেন “তোমার আর সংসার করতে হবে না, তুমি আর আমাদের বাড়ি এসো না!” তার মামা, চাচা, ফুপু, এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তি, অনেকের কাছে গেছি ওকে বুঝানোর অনুরোধ নিয়ে, সে বুঝেনি। ফোনে, ফেসবুকে ব্লক করে রেখেছে, ওদের বাড়িতে গেলে দরজা খুলে না, বাচ্চাদের সাথে দেখা করতে দেয় না। ঈদের আগের দিন ওর এবং বাচ্চাদের জন্য কাপড় কিনে নিয়ে গেছি, বাইরের গেটই খুলেনি। কী কারণ ছিলো? সিভিয়ার কোন অভিযোগ ছিলো না যার কারণে সংসার ভেঙ্গে ফেলতে হবে যেমন এক্সট্রা ম্যারিটাল এফেয়ার, বা ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইসিস, বা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স, কিছুই না। ওর ফ্যামিলিতে ৪-৫ জন লেজকাটা শিয়াল ডিভোর্সি কাজিন আছে, তারা এবং তাদের গুরুরা সবাই মিলে তাকে এবং তার বাবাকে লেজ কেটে মেয়েকে ডিভোর্সি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। আমার বুদ্ধিমতী নারীবাদী প্রাক্তন ও সরল সহজ শ্বশুর সেই লেজকাটা শিয়ালদের ইন্ধনের টোপ সফলতার সাথে গিলেছে। শুধু সেপারেশন নয়, অনেকদূর গড়িয়েছে, জিঘাংসাপরায়ণ প্রাক্তন আমার ক্যারিয়ার, চাকুরিতে আঘাত করার নেশায় মত্ত হয়েছে। শেষে এটাই বলেছি, দেনমোহরের টাকাটা নিয়ে ডিভোর্স দিয়ে দাও, তবু মীমাংসা কর, নাহ! সেটা করবে না! আমার গল্পটা পলাশ সাহার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন!

আমার স্পষ্ট ডিক্লারেশন ছিলো, আমার মা আমার বস, তুমি না। পুরুষ হয়ে জন্মেছি তোমার গোলামী করার জন্য নয়; তোমার ইগো, মিথ্যাচার, অসম্মান এগুলো সহ্য করার জন্য নয়। আমাকে গোলাম বানাতে না পারার আফসোসে সে সংসার ভেঙ্গে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি তাকে গোলাম বানাতে চাইনি। ইসলাম স্বামীকে ভক্তি করার আদেশ দিয়েছে, আল্লাহর পরে কাউকে সিজদাহ্ করার অনুমতি দিলে সেটা হতো স্বামী। আমি বাবার মতো সম্মান চাইনি, বড় ভাইয়ের মতো সম্মান চাইনি, বয়ফ্রেন্ডের মতো সম্মানটুকুতো করতে পারতো? আমার সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ ওর ফ্যামিলির কাছে দিয়ে ওর ফ্যামিলিকে আমার বিরুদ্ধে বিষিয়ে তুলেছে! একদিন আমার শার্টের কলারে টেনে বুকের দুইটা বোতাম ছিঁড়ে নিজেই আঙ্গুলে ব্যাথা পেয়েছে, সামান্য একটু ফুলেছে, সেটা এক্সরে করে পুরো আত্মীয়দের ছবি পাঠিয়েছে, “নওশাদ আমাকে মেরে আঙ্গুল ভেঙ্গেছে এই যে এক্সরে রিপোর্ট।” পরে আমাদের বাড়িতে ওর মুরুব্বিদের সাথে মিটিং-এ নিজের মিথ্যাচার স্বীকার করেছে, এরপরও সংশোধন হয়নি, মিথ্যাচার চালিয়েই যাচ্ছে, আমি নাকি ওর বাবার কাছে ৩০ লাখ টাকা দামের ফ্ল্যাট চেয়েছি, ফার্নিচার চেয়েছি, হাইস্যকর! রেসপেক্ট না করতো, অহংকার থাকতো, স্বামীর অধিকার কম দিতো, সবই মেনে নিতাম, কিন্তু মিথ্যাচার মেনে নিতে না পেরেই আমিও সেপারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আমি পারভার্ট না, পিরিয়ড বা প্রেগ্ন্যাসির সময় ডাকিনি। মাসে ৫ দিন ন্যাচারালি অসুস্থ থাকতে পারে, কিন্তু বাকি ২৫ দিনের ৮-১০ দিন তো স্ত্রীকে কাছে পাওয়ার অধিকার স্বামীর থাকা উচিৎ? সকালে সামান্য তর্ক হলেই ২ রাত কথা বলা বন্ধ। লাইফের গোল্ডেন টাইম চলে গেলে আর আসবে না, বুড়ো বয়সে ঝগড়া কইরো, অনেক বুঝিয়েছি, ঝগড়ার সময় ঝগড়া, রোমান্সের সময় রোমান্স। সে বোঝেনি, তার অহংকারই প্রধান! আমাকে তার পায়ে ধরে থাকতে হবে। ৬৫ হাজার টাকার এক সোফা পছন্দ করেছে, না কিনে দিলে টাচ করতে দিবে না, হাইস্যকর! এটা ২০২৩ সালের কথা, তখন তার বয়স ২৮ বছর! রাষ্ট্রীয় আইনই যদি সম্পর্কের মানদণ্ড হয়, ইসলাম যদি না মানে তবে পরকীয়া করার অনুমতি দিক? (যেহেতু রাষ্ট্রীয় আইনে বিবাহিত পুরুষের অবিবাহিতা নারীর সাথে পরকীয়া অবৈধ নয়)। আবার ইসলামের আইন যদি সম্পর্কের মানদণ্ড হয় তবে স্বামীকে সেবা করুক? না পারলে দ্বিতীয় বিবাহের অনুমতি দিক? দ্বিতীয় বিবাহ চাইনি, শুধু ওর কাছেই সময় চেয়েছি, একাধিকবার বোঝাতে চেয়েছি, এভাবে জীবন চলছে না, একই ছাদের নিচে থেকেও একাকীত্ব আমি সহ্য করতে পারছি না। যতবারই বোঝাতে চেয়েছি, “যাও আরেকটা বিয়ে কর গিয়ে” ধমক খেয়ে ফিরে এসেছি। খুব সুবিধাবাদী ছিলো সে। যখন ইসলাম মানলে তার সুবিধা তখন রাষ্ট্রীয় আইন ফ্যাক্টর না, আবার যখন রাষ্ট্রীয় আইন মানলে সুবিধা তখন ইসলাম বিবেচ্য নয়, ম্যারিটাল রেইপ মামলার হুমকি, ৩ বছর ধরেই ওয়ার্নিং খেয়ে সংসার করছি।

আম্মার কোন সেবা তাকে করতে বলিনি, ২ জন বুয়া রেখেছি একজন ঘরের কাজ করেন আরেকজন তার বাচ্চা রাখে, যেন তার পড়াশোনায় ব্যাঘাত না ঘটে। কোনদিন রান্নাও করতে হয় না, গোসল করে জামাটা বাথরুমে রেখে চলে আসে, অনেক দিন আমি ধুয়ে নেড়ে দিয়েছি। আম্মা হজ্বে গেছিলো হীট ওয়েভের মধ্যে, বেঁচে ফিরবে কিনা আমি টেনশান, আগের ১৫ দিন আমার কাকি, ভাবি, কাজিনেরা এসে কেনাকাটা করে দিয়েছে, সে একটা ফোনও দেয়নি! আমি বলার পরেও না! তাকে তার মেডিকেল কলেজের সাথে আলাদা বাসা নিয়ে দিয়েছিলাম তার বাবামার সাথে, তার আরামের জন্য। হজ্বে যাওয়ার ১৫ দিন আগে থেকে যাওয়ার পর দেড় মাস পর্যন্ত সে আম্মাকে একদিন একটা ফোন দিয়ে বলেনি আম্মা টেনশান কইরেন না, কিচ্ছু হবে না, আমাদের জন্য দোয়া করবেন, খেজুর আনবেন, আমি ওকে ফোন দিতে রিকোয়েস্ট করার পরও না। আম্মার হজ্বের দীর্ঘ দেড়টা মাস আমি মাসকান্দার বাসায় একা, সে বাচ্চাদের নিয়ে তার বাবামায়ের সাথে ভাড়া বাসায়। সে বা তার বাবামা একটা দিন ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেনি তোমার আম্মু ভালোভাবে পৌছেছেন কিনা, তুমি একা বাসায় কী কর, কী খাচ্ছ, কেন আসো না? আমি রাগে যাইনি, ভ্যালিড কারণ ছিলো, সে আম্মার খোঁজ নেয়নি, কিন্তু সে কোন রাগের প্রেক্ষিতে খোঁজ নেয়নি? আমার প্রতি তার ভালোবাসা অনেক আগে থেকেই নেই, আর তার সৌন্দর্যের অহংকার প্রচণ্ড লেভেলের, আর তার বাবামা তাকে প্রশ্রয় দেয়।

মিচুরিয়াল রেসপেক্ট থাকলে ভালোবাসাকে জয়ী করার জন্য আত্মসম্মানবোধ বিসর্জন দিতাম, হয়তো বউয়ের গোলাম হয়েও সুখে থাকতাম। যেখানে আমার প্রতি তার ভালোবাসাই নেই সেখানে কিসের স্যাক্রিফাইস, কার জন্য? সে যাওয়ার পর ৮ মাসে দুইবার এক্সিডেন্ট করেছি (আগের ১২ বছরের ড্রাইভে এক্সিডেন্ট করিনি), দুইবারই আমার স্টাফদের ফোন দিয়ে ওকে ডেকেছি, স্যার এক্সিডেন্ট করেছে আপনাকে আসতে বলেছে, আপনাকে অনেক দেখতে চাচ্ছে, অহংকারী সে আসেনি (আমার ফোন ব্লক)। আমি যদি অভিমান ত্যাগ করে বয়সে + সম্পর্কে বড় হয়েও ওকে ডাকতে পারি, সে কেন ছোট হয়ে সাড়া দিয়ে চলে এলো না? কারণ সে অহংকারী। যে অহংকারের কারণে সংসারে অশান্তি ছিলো, এডজাস্টমেন্ট হচ্ছিলো না, ঝগড়া লেগেই থাকতো, একই অহংকারের কারণেই সে আসেনি, আসবেও না।

আমি বান্দরবান গিয়েও ওর কথা ভুলিনি, আদিবাসীদের হাতে বোনা কাপড় এনেছি তার জন্য, কক্সবাজার থেকে সামুদ্রিক মাছ এনেও ওদের বাড়িতে নিয়ে গেছি, হয়তো এগুলোর উছিলায় রাগ ভাংবে। এগুলো ঢিল দিয়ে ছুড়ে ফেলেছে, বলেছে “এগুলো আর আনবেন না, আমরা ফকিন্নি না, আমাদের এসব লাগে না।” এই ৮ মাস আমি মাসিক খরচ দেইনি। ডিসেম্বরে ওর চাচা ফোন করে মাসিক খরচ চেয়েছে, আমি বলেছি “ওকে চলে আসতে বলেন, আমার ঘরে না থাকলে খরচ দিবো না।” অথচ আগে যখন ৩-৫ মাস করে রাগ করে বাপের বাড়ি থাকতো, যোগাযোগ বন্ধ থাকতো, তখনও খরচের টাকা পাঠাতাম। ২০২৩ সালেও রাগ করে তিন মাসের বেশি বাবার বাড়ি ছিলো, জুনে হঠাৎ গরম পড়লো, সে প্রেগন্যান্ট ছিলো, যোগাযোগ নেই, অভিমানে যাই না, তবু ওর কথা ভেবে গরীব আমি এসি কিনে পাঠিয়ে দিয়েছি, ভালোবাসি না বলেই। BPATC ট্রেনিং এ একমাত্র আমিই কালচারাল নাইটে ওকে নিয়ে গেছি, ২০০ জন অফিসার কেউতো স্পাউস নিলো না? তথ্য ক্যাডারের ডিপার্টমেন্টাল ট্রেনিং এ অফিশিয়াল ট্যুর পড়েছে সাজেক+কেউক্রাডং এ, একমাত্র আমিই ওকে নিয়ে গেছি, কেউতো স্পাউস নিলো না? যাওয়ার পথে সে অসুস্থ হয়ে গেলো, ব্লিডিং শুরু হলো, সবাই আমাদের রেখে কেউক্রাডং চলে গেলো, আমি ওকে নিয়ে বান্দরবান শহরে সারা দিন রাত হোটেলে শুয়ে ওর সেবা করেছি, হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছি, একবারের জন্যেওতো বিরক্তি প্রকাশ করিনি, “তোমার জন্য আমার ট্যুরটা মাটি হলো”? বরং সে হীনমন্যতায় ভুগছিলো, আমি ওকে আশ্বস্ত করেছি, ” আল্লাহর রহমত ছিলো বলেই তোমার অসুস্থতাকে ইগনোর করে কেউক্রাডং যাওয়ার একগুঁয়ে সিদ্ধান্ত নেইনি, যদি গহীন পাহাড়ে গিয়ে তোমার ব্লিডিং শুরু হতো, হাসপাতালে আনার আগেই তুমি মরে যেতে, বাবাকে গিয়ে আমি কী জবাব দিতাম?!” ভালোবাসি না বলেই?

এতকিছুর পরও আমি বিন্দুমাত্র ভেঙ্গে পড়িনি। শুক্রবার যাচ্ছি বান্দরবান, রবিবার কক্সবাজার, ইনশা আল্লাহ। ব্যাডমিন্টন খেলা চলবেই! কদম আলীর পাঠশালা অনলাইন থেকে অফলাইন নতুন ব্রাঞ্চে নতুন উদ্যমে শুরু হবে ইনশা আল্লাহ। আমি মুসলিম, আত্মহত্যা করে বিনা হিসাবে জাহান্নামী হতে পারবো নাতো? টক্সিক রিলেশন থেকে মনে মনে মুক্তি চাচ্ছিলাম কিন্তু তার মামলার হুমকিতে কম্প্রোমাইজ করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলাম আটা ময়দার কার্বোহাইড্রেট খেয়ে দেহটাকে বাঁচিয়ে রাখার মতো। এখন যেহেতু সে সিদ্ধান্তই নিয়েছে সেপারেশনের, এবং যেহেতু আমি তাকে আমার ঘর থেকে তাড়িয়ে দেইনি, এবং যেহেতু আমি ডেকেছি আসেনি, সেহেতু আমি বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ রইলাম না। আমার এই পোস্ট ইতিহাস হয়ে থাকবে, বাচ্চারা বড় হয়ে যখন বলবে বাবা তুমি কেন আমাদের পর করে দিয়েছিলে, তখন তাদের বলবো, তোমাদের মা আমার বুক খালি করে তোমাদের নিয়ে চলে গেছিলো। আমি তোমাদের হারাতে চাইনি।

লেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত থেকে অবিকল।

লিখেছেন….
শহীদুল ইসলাম নওশাদ
জেলা তথ্য অফিসার, ময়মনসিংহ।
তথ্য ক্যাডার,৩৫ তম বিসিএস।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর...
All rights reserved @ The Daily Amader 71
Site Customized By NewsTech.Com