এম. এস. আই শরীফ:: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে হাঁড় কাঁপানো এই কনকনে শীতের প্রকোপে দিশেহারা প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরীব-অসহায় মানুষগুলো! যেনো দেখেও নজরে পড়েনি উপজেলার নামীদামী মহাজন আর ধনাঢ্য ব্যক্তিদের। সব্বাই এখন ৫ আগষ্টে দেশ স্বাধীন হবার পর ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পথে-প্রান্তরের অসহায় কনকনে শীতে জবুথবু মানুষগুলোর খোঁজ-খবর নেয়ার কেউ নেই।
এরই ফাঁকে শীতকাল আসলেই গরীব-অসহায় মানুষগুলোর একটা হক এসে যায়, সেটা সবাই ভুলে গেছে বলে প্রত্যক্ষ করা গেছে। শীত প্রায় শেষের দিকে হলেও বৃত্তশালী, দানবীর, রাজনৈতিক নেতা বা ব্যক্তিগণ এমনকি সরকারিভাবেও কোন কর্তারই গোচরে আসেনি বলে বিষয়গুলি এলাকার বিভিন্ন সচেতনমহলের মতামতে উঠে এসেছে।
তারা আরো বলছেন, শীতকাল আসার সাথে সাথেই শুরু হতো নানান কায়দা-কৌশল করে গরীব-অসহায়, বয়োবৃদ্ধ, প্রতিবন্ধীসহ সকল গরীবদের নানান ধরণের শীত নিবারণের কম্বলের। বিশেষ করে গরীব ঘরে জন্ম নেয়া শিশু সন্তানেরা গভীর রাতে আরামের ঘুমটি পারতো চোখ জুড়ে। সেখানে গরীব-অসহায় মানুষগুলো পড়েছে বেকায়দায়। কার কাছে বলবে মনের ভিতরে লুকিয়ে থাকা কষ্টের কথাগুলি।
তাদের মাঝে উভয় সঙ্কট মূহুর্তগুলো বিরাজমান। না পারছে কাউকে বলতে। আর না পারছে শীতের প্রকোপে কষ্ট সহ্য করতে। এমনও পরিবারের সদস্য রয়েছে, যাদের বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না’র মতো অবস্থা। কে দেখবে এই দুর্দশাপন্ন অতি কষ্টের আহাজারি? এ দৃশ্য দেখার মতো দৃষ্টিভঙ্গি তো রয়েছে, এলাকার ধনাঢ্য, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ও সরকার সু-দৃষ্টি দিলেই ঐ অসহায়-দুঃখী পরিবারগুলো আহাজারীর হাত থেকে রেহাই পাবে বলে সচেতন মহল বলছেন।
তাই আসুন এলাকায় যারা ধনাঢ্য, দানবীর, উদার মনের মানুষ তারা নিজেরাই ঐ গরীব-দুঃখীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। সে সাথে বর্তমান সরকারের সু-দৃষ্টি দেয়ার প্রচেষ্টা চালাই। ভবিষ্যতের পরিস্থিতি পরিবর্তনের সুরাহা করার আপ্রাণ চেষ্টা-তদবীরের মাধ্যমে আমাদের সামাজিক যোগাযোগ অক্ষুন্ন রেখে গরীব-দুঃখীদের পাশে থাকার ব্রতী হই।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রতন কুমার নায়েক বলেন, সরকারি বরাদ্দ পর্যাপ্ত পরিমান না থাকায় শুধুমাত্র বীরমুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বরাদ্দ আসলেই উপজেলার সর্বস্তরের অসহায়-গরীব দুঃখীদের মাঝে বিতরণ দেয়া হবে।