এদিকে এতো দামি জিনিসের লোভে না পড়ে সততার পরিচয় দেয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়ার পর প্রশংসায় ভাসছেন রিকশাচালক দিগন্ত কুমার।
জানা যায়, কুড়িয়ে পাওয়া ওই নেকলেসটি ছিল সিঙ্গাপুর প্রবাসী রাশেদ হোসেনের স্ত্রীর। এই দম্পতি কালীগঞ্জের হেলাই গ্রাম থেকে ঝিনাইদহ শহরে তার এক আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার পথে হারিয়ে যায় গয়নাটি। পরে সেটি কুড়িয়ে পান দিগন্ত কুমার।
এ বিষয়ে রাশেদ হোসেন জানান, কালীগঞ্জ শহরের মধ্যে তার স্ত্রীর গলায় থাকা সাড়ে ৫ ভরি ওজনের নেকলেসটি হঠাৎ আনমনে কখন যেন পড়ে যায়। যখন টের পান, তখন খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। এমনকি মাইকিং করেও খুঁজেছেন।
তিনি আরও জানান, যখন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না, আশা শেষ হয়ে যাচ্ছিল, তখন রিকশা চালক দিগন্ত কুমার দাস তার সাথে যোগাযোগ করেন এবং নেকলেসটি ফেরত দেন। তিনি রিকশাচালকের এই মহানুভবতা দেখে বিস্মিত হয়েছেন। সততার পুরস্কার হিসেবে তাকে একটি মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছেন রাশেদ।
রিকশাচালক দিগন্ত বলেন, রিকশা নিয়ে যাওয়ার পথে জনতা ব্যাংক মোড়ে সোনার নেকলেসটি পান। এরপর তিনি ফেরত দেয়ার জন্য প্রকৃত মালিক খুঁজছিলেন। মাইকিং শুনে নিশ্চিত হওয়ার পরই তিনি সেটি ফেরত দিয়েছেন বলেও জানান।