ড. মুহাম্মদ ইউনুস,মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়, দয়া করে ভ্যাকসিন হিরো নার্সদের একটু খোঁজ নিন!! জো বাইডেন কিন্তু চেয়ারে বসেই প্রথম ফোনটা করেছিলেন একজন মার্কিন নার্সকে!!
আসুন নার্সিং পেশায় গভীরে একটু চোখ ভুলানো যাক!
===================================
বাংলাদেশের সকল সরকারি হাসপাতালের বহিঃ বিভাগ এবং অন্ত বিভাগে ভর্তিরত রোগীদের সকাল, বিকাল, রাত্রিকালীন অর্থাৎ রাতদিন ২৪ ঘন্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন মাত্র (২২,০০০+১০,০০০+৮,০০০)= ৪০,০০০ নার্স!! দেশের যেকোনো মহামারীতে সকল প্রকার ছুটি বাতিল করে দেশের স্বাস্থ্য খাতকে অন্যদের সাথে কাঁধে কাধ মিলিয়ে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। ক্লিনিক্যাল সাইডে তাদের হাজারো বৈষম্য!! বেতন ফরোয়ার্ড দেরিতে করবে! নার্সরা এক কুড়ি অধিক রেজিস্টার লিখেন কিন্তু চেয়ার টেবিল নাই!! আদরের বাচ্চার চিকিৎসার জন্য ছুটি নিতে প্রশাসনিক হয়রানি! একবার ভাবুনতো মেডিসিন ওয়ার্ডে ১৭৯ রোগি ভর্তি আর চারজন মাত্র নার্স!! সেই নার্সিং কর্মকর্তার ৭/৮ মাসের বেবি বাসায় তার নানী/ বাবার কাছে!! দিতে পারলেননা একটা ডে কেয়ার সেন্টার!! চিৎকার / আহাজারি আপনাদের কর্ণকুহুরে পৌছায়না!! এভাবে কতশত বৈষম্যর চিত্র দেখা যাবে একটু গভীরে গেলে!! মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে অনুরোধ যে, এত কম সংখ্যক জনবল দিয়ে “দিনে ২৪ ঘন্টা সপ্তাহে সাতদিন”ভালো কিছু চাওয়া মানে গাছের গোড়া কেটে মাথায় পানি ঢালার মতোন!! দয়া করে আমাদের পেশাদার অফিসারদের এখনি পরিচালক পদে বসানোর ভূতাপেক্ষ অনুমতি দিন।। নার্সদের ৯ম গ্রেড হতে ৪র্থ গ্রেড পর্যন্ত জেলা, বিভাগ, অধিদপ্তরের শুন্য পদগুলো পূরণ করে দ্রুত শৃংখলা ফিরিয়ে আনুন। অনেক বৈষম্য হয়েছে।। এবার একটু থামতেই হবে। আমার সিদ্ধান্ত অন্যদের আর নিতে হবে না। চারজন মাত্র মিডওয়াইফ দিয়ে একটা উপজেলার মা ও শিশুর নিরাপদ মাতৃত্ব ও পরিচর্যার দায়িত্ব দিলেন!!ইউনিয়ন সাব সেন্টারে মাত্র একজন মিডওয়াইফ!! আহ আমার এসডিজি!!!যে সকল নার্স মিডওয়াইফ গবেষকবৃন্দ পেশায় পিএইচডি লাভ করেছেন, তাদের মধ্যহতে জৈষ্ঠতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে চেয়ারে বসানোর বিনীত অনুরোধ করছি।
মোঃ কামরুল হাসান,
রেজিস্টার্ড নার্স।
লেখা : ফেসবুক পেজ থেকে কপি পেস্ট