নতুন জামা কিনে দেওয়ার কথা বলে আব্দুর রহমান মুসা (১১) নামের একমাত্র ছেলেকে খুনের অভিযোগে নিহতের মায়ের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বাবা। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে নিহতের মা শরিফুন নেছা বাদী হয়ে চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা করেন।
অভিযুক্তরা হলেন গ্রেপ্তার মহিউদ্দিনের মা শাহানা বেগম (৫৫), ছোট ভাই সজিব (২০) এবং দ্বিতীয় স্ত্রী ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার বাউনকান্দা গ্রামের আজিজুল শেখের মেয়ে সুমনা (২৬)।
নিহতের মা ও থানা সূত্রে জানা যায়, মহিউদ্দিন ও শরিফুন নেছা দম্পতির ১৬ বছরের সাংসারিক জীবনে আব্দুর রহমান মুসা তাদের একমাত্র সন্তান। কিছুদিন আগে মহিউদ্দিন জনৈকা সুমনাকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। এ নিয়ে সংসারে বিবাদ সৃষ্টি হয়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর শরিফুন নেছা কর্মস্থল থেকে বাসায় এসে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর আব্দুর রহমান ছেলে মুসাকে নতুন জামা কিনে দেওয়ার কথা জানান। এদিকে ছেলেকে বাসায় রেখে কর্মস্থলে যান শরিফুন নেছা। বিকেল সাড়ে ৫টায় মুসাকে জামা কিনে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান মহিউদ্দিন।
পরে শিশুর মা বাসায় এসে তাকে না পেয়ে তার বাবাকে ফোন করলে মুসাকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়ে ফোনটি বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় গত ২২ সেপ্টেম্বর টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি জিডি করেন শরিফুন। এর সূত্র ধরে ফরিদপুর ভাঙ্গা থানা পুলিশ সতীন সুমনার বাড়ি থেকে মহিউদ্দিনকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ী কাশবনে ছেলে মুসাকে শ্বাসরোধে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন।
আজ বুধবার টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের নিকটও একই কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে মহিউদ্দিনের দেওয়া তথ্য মতে ডিএমপি ঢাকা তুরাগ দিয়াবাড়ীর কাশবনের ঝোপের ভেতর থেকে মুসার লাশ উদ্ধার করে। মহিউদ্দিনের মা, ভাই ও দ্বিতীয় স্ত্রীর যোগসাজশে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মামুনুর রশীদ কালের কণ্ঠকে জানান, নিহত শিশুর বাবাকে আটক ও লাশ উদ্ধারপূর্বক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। খবর – কালের কন্ঠ