কোটা সংস্কার কে কেন্দ্র করে ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিলো। আদালতের রায়ের মাধ্যমে সরকার দাবি মেনে নিয়ে কোঠা সংস্কার করেছে। শিক্ষার্থীরা এই সংস্কার মেনে নিয়েছে। যদি-ও এই কোঠা সংস্কারের দাবি আদালতে সরকার পক্ষই করেছিল।
আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে রাষ্ট্রীয় সম্পদসহ ছাত্র, পুলিশ, সাধারণ জনগণ, সরকার দলীয় লোক উভয় পক্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সে কারণে রাষ্ট্র একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে সকলের প্রতি দোয়া ও সহমর্মিতা জানিয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় মর্মাহত হয়েছি। সন্তানহারা বাবা-মা কে স্বান্তনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই। তবে সকলের প্রতি আমি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।
আমরা চাইলেও এই মানুষ গুলো কে আর ফিরে পাবো না। যদি ফিরে পাওয়া যেতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেটাই করতেন। তবে সরকার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এখন প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে পারে। দ্রুত বিচারের জন্য অবশ্যই আমাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে নিহত পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের আস্বস্ত করেছেন এবং পরিবারের কর্মসংস্থান ও আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।
তাই আন্দোলনরত সকল শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করব তোমরা আমার সন্তানের মতো কেউর প্ররোচনায় পড়ে নিজেদের লেখাপড়ার ক্ষতি করো না। তোমরা নিজের চোখেই দেখতে পেলে কিভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। নিশ্চয়ই এগুলো তোমরা করছো না। তোমাদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে তৃতীয় পক্ষ এই নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। তোমাদের দাবি মেনে নেওয়ার পরেও আন্দোলন চালিয়ে তৃতীয় পক্ষ কে দেশ ধ্বংস করার সুযোগ দিও না।
তোমরাই তো আমাদের আগামীর সম্পদ। এই রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তোমাদের হাতেই থাকবে। কেউ প্রশাসনিক বিভাগের নেতৃত্ব দিবে, কেউ নির্বাহী বিভাগের নেতৃত্ব দিবে, কেউ আইন বিভাগের নেতৃত্ব দিবে, আবার কেউ রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিবে।
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা লাল সবুজের পতাকাবাহী এই রাষ্ট্র কে তোমরা ধ্বংস হতে দিও না। সকলে বাসায় ফিরে পড়াশোনায় মনোযোগী হও।
সকলের প্রতি আমার দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
(লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে)
লেখক- বিএম কবিরুল হক মুক্তি, সংসদ সদস্য, নড়াইল-১ আসন।