দুর্নীতিবাজদের বিচার চাই ; ক্রসফায়ার চাই
।। এইচ. এম সিরাজ।।
প্রথমে সবাইকে নজরুলীয় শুভেচ্ছা, অভিবাদন।
আজকে এখানে আমি মাত্র কয়েকটি লাইনে দুর্নীতির গদ্য লিখবো। এবং আমি যদি ঠিকমতো সমর্থন পাই, অসহায় শরীর নিয়েও মাঠে নামবো। ‘যারা যত বড়ো দস্যু ডাকাত, তস্কর দাগাবাজ ; / তারা তত বড়ো সম্মানী গুণী জাতিসংঘেতে আজ!’ আমার মুর্শিদ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম চির-নিরব হওয়ার আগে “চোর-ডাকাত” শীর্ষক কবিতায় কথাগুলো বলেন দিব্যদর্শনের আলোকে। আমরা হয়তোবা তা বিশ্বাস করতে চাইনি বলেই আজকে বাংলাদেশে লুটপাট দুর্নীতিসহ হাজারো অনাচার বিশ্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। আজকে বেনজির-আজিজ-মতিউর প্রমুখ দুর্নীতিবাজরা সমগ্র দেশবাসীর ঘৃনার পাত্রে পরিণত হয়েছে ; অভিসম্পাত পাচ্ছে। যা এখন বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে।
আজকে আরেকটি বিষয় এখন সামনে আনতেই হবে, বাংলাদেশের প্রধান দুর্নীতি কী? আমি একাত্তরে এলাকাগতভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েও ‘মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট’ অর্জনের চেষ্টা করিনি। কেননা, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের কোনো “বিনিময়” হতে পারে, এ কথা আমি মানি না। অথচ আজকে তা-ই দেখছি এবং একইসাথে ‘ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা’দের হাজার হাজার কান্ড- কারবার দেখছি অবাক বিস্ময়ে! খাঁটিরা এখন প্রায় কাচুমাচু অবস্থায়! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এটি জানেন না? অবশ্যই জানেন। তিনি ক্ষমতার জন্য ছাড় দিয়ে চলেছেন! এর পরিণতি হবে আরো মারাত্মক।
আমি রাজনীতি করি না; রাজক্ষমতায় যাবো না। তবে, একথা সত্য যে, বড়ো কিংবা বিশাল কোনো জনসমাবেশে ভাষণ দেয়ার সুযোগ যদি পাই, তাহলে অবশ্যই “দুর্নীতিবাজদের বিচার প্রচলিত আইনে করার” দাবী করবো না। আমি স্পষ্ট করে উচ্চকণ্ঠে বলবো, “দুর্নীতিবাজদের বিচার করতে হবে ক্রসফায়ারে, প্রকাশ্যস্থানে।” এ ব্যাপারে একটি ‘ইনডেমনিটি’ পাশ করে নিলেই ব্যস। এদেশের শত শত মানুষকে তো ওরা ক্রসফায়ারে খুন করেছে!
আমরা ভুলে যেতে পারি না যে, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট তৈরির চেয়ে বড়ো অপরাধ আর নেই।
লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
(লেখক : বিশিষ্ট নজরুল ভাবুক এবং প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অগ্নিবীণা ও ঘরামির ঘর)